7/Slider/slider-tag <center><div id='bp_recent'></div><div class='bp_footer'><small><a id='bp_recent_link' target='_blank' href='http://www.bloggerplugins.org/2011/09/recent-posts-thumbnails-blogger-widget.html?utm_src=bp_recent' style='padding: 1px 0px 0px 19px;text-decoration:none;'><a href='http://www.bloggerplugins.org/?utm_src=bp_recent' target='_blank' title='blogger widgets'></a></a></small></div> <script style='text/javascript' src='http://bloggergadgets.googlecode.com/files/recentposts_orig.js'></script> <script style='text/javascript'> var numberOfPosts = 5; var showPostDate = false; var showSummary = false; var titleLength = 0; var showCommentCount = false; var showThumbs = true; var showNoImage = true; var imgDim = 125; var imgFloat = 'left'; var myMargin = 5; var mediaThumbsOnly = true; var showReadMore = false; </script> <script src='https://hindudarshon.blogspot.com/feeds/posts/default?max-results=5&orderby=published&alt=json-in-script&callback=bprecentpostswiththumbnails'> </script></center>

পৃষ্ঠাসমূহ

২৬ নভেম্বর, ২০২১

নবপত্রিকা ও কলাবৌ

নব পত্রিকা (কলাবৌ)

দুর্গাপূজার সময় নবপত্রিকার পূজা করা হয়। কদলী (কলা), কচু, হলুদ, জয়ন্তী, বেল, দাড়িম্ব (ডালিম), অশোক, মান ও ধান এই নয়টি বৃক্ষের চারাকে একত্রে নবপত্রিকা বলে। কলা গাছের সাথে অবশিষ্ট আটটি গছের চারা অপরাজিতা লতা দ্বারা বেধে নবপত্রিকা তৈরি করা হয়। নবপত্রিকা মূলত দেবী দুর্গারই প্রতীক। কেউ কেউ নবপত্রিকাকে কলবৌও বলে। নবপত্রিকার কলায় ব্রহ্মাণী, কচুতে কালিকা, হলুদে দুর্গা, জয়ন্তীতে কার্তিকী, বেলে শিব, দাড়িম্বে রক্তদন্তিকা, অশোকে শোকরহিতা, মানে চামুণ্ডা এবং ধানে লক্ষ্মী দেবী অধিষ্ঠান করেন। এই নয়টি বৃক্ষের নাম দেবীর নয়টি গুণকে প্রকাশ করে, তাই এই নয়টি বৃক্ষে নয়টি রূপে দেবী অবস্থান করেন। কলা গাছে অফুরন্ত সৃজনী শক্তি রয়েছে। তাই কলাগাছে ব্রহ্মার সৃজনী শক্তি ব্রহ্মাণী রয়েছেন। দেবী কালিকা তীব্র ও উগ্র স্বভাবের। কচুর স্বাদও তীব্র ও উগ্র বলে দেবী কালিকা কচুতে অবস্থান করেন। ধান ধনের প্রতীক। লক্ষ্মী দেবী ধন দান করেন বলে ধান গাছে অবস্থান করেন। দেবী শোকরহিতা এবং ভক্তের শোক নাশ করেন, তাই তিনি অশোক নামক বৃক্ষে অবস্থান করেন। দেবী মান দান করেন বলে মান নামক উদ্ভিদে অধিষ্ঠান করেন।

দেবীকে যারা ভক্তি করেন তাঁরা সব কিছুতে জয়ী হন। জয়ন্তী বৃক্ষে দেবীর এ জয়ন্তী রূপকে স্মরণ করিয়ে দেয়। দুর্গার গাত্রবর্ণ হলুদাভ, এজন্য তিনি হলুদেও অবস্থান করেন। বেলের পত্র ও ফুল দেবীর প্রিয় বলে দেবী বেলে অবস্থান করেন। অসুরের রক্ত পান করে দেবীর দন্ত ডালিম ফুলের মত রক্তবর্ণ হয়েছে, এজন্য দেবী রক্তদন্তিকা রূপে ডালিমে অধিষ্ঠান করেন। দেবী দুর্গাকে কুমারী রূপেও পূজা করা হয়। দেবতাদের তেজে উৎপন্ন চণ্ডী দেবী কুমারী রূপেই বিরাজমানা যদিও তিনি সতী ও পার্বতী রূপে শিবপত্নী হয়েছিলেন। মহানবমীতে কুমারী পূজা করা হয়। এক হতে ষোল বৎসরের কুমারীকে দেবী জ্ঞানে পূজা করা হয়। এক হতে ষোল বৎসরের কুমারীর মধ্যে দেবী ষোল রূপে অবস্থান করেন। দেবী এক বছরের কন্যায় সন্ধ্যা, দুই বছরের কন্যায় সরস্বতী, তিন বছরের কন্যায় ত্রিধামূর্তি, চার বছরের কন্যায় কালিকা, পাঁচ বছরের কন্যায় সুভগা, ছয় বছরের কন্যায় উমা, সাত বছরের কন্যায় মালিনী, আট বছরের কন্যায় কুব্জিকা, নয় বছরের কন্যায় কালসন্দর্ভা, দশ বছরের কন্যায় অপরাজিতা, এগার বছরের কন্যায় রুদ্রানী, বার বছরের কন্যায় ভৈরবী, তের বছরের কন্যায় লক্ষ্মী, চৌদ্দ বছরের কন্যায় পীঠনায়িকা, পনের বছরের কন্যায় ক্ষেত্রজ্ঞা এবং ষোল বছরের কন্যায় অম্বিকা রূপে অবস্থান করেন। (“হিন্দুধর্মের সারকথা” থেকে সঙ্কলিত)।