শ্রীমদ্ভগবত্ গীতা
শ্রী শ্রী চণ্ডী
শ্রী শ্রী চণ্ডীর কয়েকটি শ্লোক
ত্বয়ৈব ধার্যতে সর্বং ত্বয়ৈতৎ সৃজতে জগৎ।
ত্বয়ৈতৎ পাল্যতে দেবি ত্বমৎস্যন্তে চ সর্বদা।।
(১/৭৫)
অনুবাদঃ
হে দেবি, আপনিই এই জগৎ ধারণ করে আছেন। আপনি এই জগৎ সৃষ্টি করেন, আপনিই জগৎকে পালন করেন
এবং প্রলয়কালে আপনি জগৎ ধ্বংস করেন।
মেধাসি দেবি বিদিতাখিলশাস্ত্রসারা দুর্গাসি দুর্গভবসাগরনৌরসঙ্গা।
শ্রীঃ কৈটভারিহৃদয়ৈককৃতাধিবাসা গৌরী ত্বমেব
শশিমৌলিকৃতপ্রতিষ্ঠা।। (৪/১১)
অনুবাদঃ
আপনি সেই মেধারূপিনী সরস্বতী, আপনি দুস্তর সংসার সমুদ্রের তরণী। আপনি অদ্বিতীয়া ব্রহ্মময়ী।
আপনি নারায়ণের হৃদয়-বিলাসিনী লক্ষ্মী এবং আপনি মহাদেবের হৃদয়-বিলাসিনী গৌরী।
যা দেবী সর্বভূতেষু শান্তিরূপেণ সংস্থিতা।
নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ।।
(৫/৪৯)
অনুবাদঃ
যে দেবী সর্বভূতে শান্তিরূপে অবস্থান করেন তাকে নমস্কার, তাকে নমস্কার, তাকে নমস্কার,
নমস্কার, নমস্কার।
একৈবাহং জগত্যত্র দ্বিতীয়া কা মমাপরা।
পশ্যৈতা দুষ্ট ময্যেব বিশন্ত্যো মদ্বিভূতয়।।
(১০/৫)
অনুবাদঃ
চণ্ডীকা দেবী শুম্ভ নামক অসুরকে বললেন— একমাত্র আমিই এই জগতে
বিরাজিতা। আমি ছাড়া জগতে আর দ্বিতীয় কে আছে? ওরে দুষ্ট, ব্রহ্মাণী প্রমুখ এই সকল
দেবী আমারই শক্তি। এই দেখ তাঁরা আমাতেই বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
সর্বমঙ্গলমঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থ সাধিকে।
শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরি নারায়ণি নমোহস্তুতে।।
সৃষ্টি স্থিতি বিনাশানাং শক্তিভূতে সনাতনি।
গুণাশ্রয়ে গুণময়ে নারায়ণি নমোহস্তুতে।।
শরণাগত দীনার্ত পরিত্রাণপরায়ণে।
সর্বস্যার্তিহরে দেবি নারায়ণি নমোহস্তুতে।। (১১/১০-১২)
অনুবাদঃ
হে দেবি, আপনি সকল মঙ্গলের মঙ্গলস্বরূপা, কল্যাণকারিণী, চতুর্বর্গ (ধর্ম, অর্থ, কাম
ও মোক্ষ) প্রদায়িণী, ত্রিনয়না, গৌরবর্ণা হে নারায়ণি আপনাকে প্রণাম। হে দেবি, আপনি
সৃষ্টি, স্থিতি ও সংহারের শক্তিরূপিণী। আপনি সনাতনি ও ত্রিগুণের আধারভূতা (নিগুর্ণা)
অথচ ত্রিগুণময়ী। হে নারায়ণি আপনাকে প্রণাম। হে দেবি, আপনি শরণাগত, দীন ও আর্তগণকে
পরিত্রাণ করেন। সকলের দুঃখ-নাশিনী হে নারায়ণি আপনাকে প্রণাম।
ইত্থং যদা যদা বাধা দানবোত্থা ভবিষ্যতি।
তদা তদাবতীর্যাহং করিষ্যাম্যরি সংরক্ষয়ম্।।
(১১/৫৪—৫৫)
অনুবাদঃ
এভাবে যখনই দানবদের উত্থান ঘটবে এবং তারা বাধা-বিঘ্ন সৃষ্টি করবে তখনই
আমি আবিভূতা হয়ে দেবশত্রু অসুরদের বিনাশ করব।
স্মৃতি শাস্ত্র
মনুসংহিতার কয়েকটি শ্লোক
যং মাতাপিতরৌ ক্লেশং
সহেতে সম্ভবে নৃণাম্।
ন তস্য নিষ্কৃতিঃ
শক্যা কতুর্ং বর্ষশতৈরপি।। (২/২২৭)
অনুবাদঃ সন্তান জন্মদানে পিতা-মাতা যে ক্লেশ সহ্য
করেন, পুত্র শত শত বৎসরে শত শত জন্মেও পিতা মাতার সে ঋন পরিশোধ করতে সমর্থ হয় না।
ইমং লোকং মাতৃভক্ত্যা
পিতৃভক্ত্যা তু মধ্যমম্ ।
গুরুশুশ্রূষয়া
ত্বেবং ব্রহ্মলোকং সমশ্নুতে।। (২/২৩৩)
অনুবাদঃ মানুষ মাতৃভক্তির দ্বারা এই পৃথিবী জয়
করতে পারে, পিতৃভক্তির দ্বারা মধ্যমলোক (স্বর্গলোক) জয় করতে পারে এবং গুরুভক্তির দ্বারা
ব্রহ্মলোক জয় করতে পারে।
সর্বে তস্যাদৃতা ধর্মা
যস্যৈতে ত্রয় আদৃতাঃ।
অনাদৃতাস্তু
যস্যৈতে সর্বাস্তস্যাফলাঃ ক্রিয়াঃ।। (২/২৩৪)
অনুবাদঃ যে ব্যক্তি পিতা, মাতা ও আচার্যকে শুশ্রূষার
দ্বারা তুষ্ট করেছে, তার পক্ষে সকল ধর্মকর্ম অনুষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে, আর যে ব্যক্তি
এই তিনজনের অনাদর করে, তার (শ্রৌত-স্মার্ত) সকল কাজই নিষ্ফল
হয়ে যায়।
শ্রদ্দধানঃ শুভাং বিদ্যামাদদীতাবরাদপি।
অন্ত্যাদপি
পরং ধর্মং স্ত্রীরত্নং দুষ্কুলাদপি।। (২/২৩৮)
অনুবাদঃ শ্রদ্ধাযুক্ত ব্যক্তি অত্যন্ত নিকৃষ্ট
জাতি থেকেও উত্তম বিদ্যা গ্রহণ করবে; অন্ত্যজ চণ্ডালাদি জাতির কাছ থেকেও শ্রেষ্ঠ ধর্ম
গ্রহণ করবে; নিজের থেকে নিকৃষ্ট কুল থেকেও উত্তমা স্ত্রী বিবাহের মাধ্যমে গ্রহণ করবে।
নামুত্র হি সহায়ার্থং পিতা মাতা চ তিষ্ঠতঃ।
ন পুত্রদারং ন
জ্ঞাতি ধর্মস্তিষ্ঠতি কেবলঃ।। (৪/২৩৯)
অনুবাদঃ পরলোকে সহায়তার জন্য পিতা, মাতা, স্ত্রী, পুত্র, জ্ঞাতি কেউই বিদ্যমান থাকে না, কিন্তু ধর্মই তখন একমাত্র সহায় হয়।
একঃ প্রজায়তে জন্তুরেক এব প্রলীয়তে।
একঃ অনুভুঙ্ক্তে সুকৃতমেক এব চ দুষ্কৃতম্।। (৪/২৪০)
অনুবাদঃ জীব একা জন্মগ্রহণ করে এবং একই মৃত্যুমুখে পতিত হয় সে একাই নিজের সৎকর্মের ও দুষ্কর্মের ফল ভোগ করে।
বেদাভ্যাসস্তপো জ্ঞানমিন্দ্রিয়াণাঞ্চ সংযমঃ।
অহিংসা গুরুসেবা চ নিঃশ্রেয়সকরং পরম্।। (১২/৮৩)
অনুবাদঃ পুনঃ পুনঃ বেদপাঠ, তপস্যা, জ্ঞান, ইন্দ্রিয়সংযম,
অহিংসা এবং গুরুসেবা এগুলো সর্ব-শ্রেষ্ঠ নিঃশ্রেয়সকর অর্থাৎ মোক্ষদায়ক ধর্ম।
What about puran and authent
উত্তরমুছুনicity.pl.write about
কিছুদিনের মধ্যেই লেখা হবে
উত্তরমুছুন